মানব শরীরের মজার কিছু তথ্য!!!
চলুন দেখে নেয়া যাক মানব শরীরের মজার কিছু তথ্য।Brain-এর কিছু কথা : আমাদের Brain দশ হাজার কোটি ঘবঁৎড়হনামক ঈবষষ দ্বারা গঠিত যার একটি ঈবষষ। Brain এ কোনো কোনো Chemical reaction ঘটতে সময় লাগে ১ সেকেন্ড দশ লাখ ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম সময়। স্নায়ুতন্ত্রের ভিতর যে ওসঢ়ঁষংব বা সংকেত চলে তার গতি ঘণ্টায় ১৮০ মাইলেরও বেশি ।
আঠারো বছর বয়সের পর Brain প্রতিদিন কিছু কিছু করে কোষ হারায় যার কারণে এর ওজন কমতে থাকে।
আমাদের Brain-এর ওজন প্রায় ১৫০০ গ্রামের মতো। কিছু CSF নামক তরল পদার্থে Brain থাকার কারণে এর ওজন অনুভূত হয় মাত্র ৫০০ গ্রাম। তা নাহলে যা বয়ে নিয়ে বেড়ানো আমাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হতো।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সব অনুভব, অনুভূতি Brain দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও Brain-এর কোনো Nerve ending না থাকায় Neurosurgery তে কোনোরকম অ্যানস্থেসিয়া ছাড়াই কাটাছেঁড়া করা যায় ।
চোখের ভাষা : কোনো সাহায্য ছাড়া স্বাভাবিক আলোতে দুইটি চোখ এক কোটি ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের তল আলাদা করে শনাক্ত করতে পারে। যেখানে ফটো ইলেকট্রিক স্পেকট্রোফটোমিটারে ক্ষমতা চোখের দক্ষতার শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ।
চোখের রেটিনায় রয়েছে ১০টি লেয়ার, চোখের photoreceptor cell-এর সংখ্যা প্রায় 127*106 প্রত্যেক চোখে। এতে দুই ধরনের পবষষ থাকে যা অল্প ও অধিক আলোয় দেখতে সাহায্য করে ।
চোখের জলের হয় না কোনো রং
চোখের জল যা অশ্রু নামে পরিচিত এক বিস্ময়কর পদার্থ যা প্রত্যেকবার পলক ফেলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর অবস্থান নেয়। উত্তেজিত মানুষ চোখের পানিতে শতকরা ২৪ ভাগ প্রোটিন থাকে। অশ্রুতে সামান্য পরিমাণ প্রোল্যাকটিন হরমোন থাকে যা মহিলাদের স্তনে দুগ্ধ আনয়নে উদ্দীপনা জোগায়।
নাক : নাকের শ্লেষ্মা ঝিলি্ল লাখ লাখ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে শ্লেষ্মার রাসায়নিক পদার্থের বিরুদ্ধে। পুষ্পরেণু প্রতিরোধে রয়েছে নাকের স্বতন্ত্র প্রতিরোধ কৌশল। কোনো ধুলাবালি বা কোনো ক্ষুদ্র বস্তু নাক দিয়ে প্রবেশ করলে শ্লেষ্মার সংস্পর্শে আসামাত্র চুলকানি অনুভূত হয়, যার ফলে হয় হাঁচি।
হাঁচিতে যে বেগে বাতাস বের হয় তা প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০ মাইল।
নাকের ভিতরে যে আবরণ রয়েছে তাতে ব্রাশের মতো যে বস্তু আছে তা সর্বদা ঢেউ আকারে চলমান, যার মাধ্যমেও অনেক ধূলিকণা বা একইজাতীয় বস্তু বাইরে বেরিয়ে আসে।
কান : মানুষ ২০ হার্জ থেকে ২০ হাজার হার্জ পর্যন্ত শব্দ শুনতে পায়। এত অল্প কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পেলেও কানের পাশ দিয়ে যে রক্ত ধারা প্রবাহিত হয় তার শব্দ শুনতে পায় না। কানের আছে তিনটি অংশ। কানের প্রধান কাজ হলো শব্দ শোনা কিন্তু কান আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, তা হলো_ সাম্যাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা। কানের ভিতরে যে পর্দা আছে তা মূলত শুনতে সাহায্য করে। এই পর্দার কম্পনের কারণেই আমরা শুনতে পাই । অত্যধিক শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর। ১৫০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ সার্বক্ষণিক শুনলে শ্রবণ ক্ষমতা স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হতে পারে। ২০০ ডেসিবেল বা এর বেশি মাত্রার শব্দ মৃত্যুর কারণ হতে পারে ।
এজমা রোগাক্রান্ত শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতার উচ্চসীমা ৩০ হাজার হার্জ পর্যন্ত হতে পারে ।
মানুষ তার নিজের উচ্চারিত যে শব্দ শুনতে পায় তা প্রবাহিত হয় হাড়ের মাধ্যমে।
এত খাবার যায় কোথায়?
মানবশরীরের আরেকটি বিস্ময়কর বস্তু হলো পাকস্থলী। এর খাবার ধারণক্ষমতা প্রায় দেড় কেজি। এর ভিতরে থাকে হাজার হাজার নিউমেরাস ফোল্ড যা এর সার্ফেস এরিয়া বাড়ায় কয়েকগুণ। এতে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষতিকর ঐঈখ এসিড। যা লোহা পর্যন্ত গলাতে পারে কিন্তু পাকস্থলীকে
গলাতে পারে না, কারণ পাকস্থলীতে আছে মিউসিন নামক লালা জাতীয় পদার্থ। এতে আছে হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়া। খাবার মুখ থেকে পেটে গেলেই কার্যকর হয়ে যায় সব গ্রন্থি যার মাধ্যমে খাবার প্রথমে চূর্ণ হয়, এরপর হয় শোষণ। যার মাধ্যমে শরীর তার সর্বশক্তি পেয়ে থাকে।
এত গেল মানবশরীর নিয়ে সামান্য আলোচনা। আরো আছে কঙ্কালতন্ত্র লসিকা গ্রন্থি, মূত্রনালীসংক্রান্ত বংশগতি সংক্রান্ত ইত্যাদি। এরপরও কি মনে হয় না যে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল যন্ত্র হলো আমাদের তথা মানুষের শরীর।
0 comments: