সাগরতলের আজব প্রাণী!
সাগরের মাছেরাও কিন্তু অদ্ভূত। শুধু যে অদ্ভূত তা-ই না, তেমনি ভীষণ সুন্দরও বটে। সাগরতলে এতো সুন্দর সুন্দর উজ্জ্বল রঙের মাছের দেখা পাওয়া যায়, না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। আবার, সাগরে এমন কিছু মাছেরও দেখা মেলে, যাদের দেখলে কোনোভাবেই মনে হবে না, ওটা একটা মাছ! মনে হবে, সাগরতলের আজব কোনো প্রাণীরই দেখা পেলেন বুঝি। আজকে এমনি আজব তিনটি মাছের গল্প শোনাবো- স্টিংরে, সিহর্স আর পাফারফিশ। শেষ দু’টি মাছের আবার বাংলা নামও আছে- সিন্ধুঘোটক আর বেলুন মাছ। তাহলে চলোন, তিনটি এমন মাছের গল্প শুনে আসি, যারা দেখতে মোটেও মাছের মতো নয়।
স্টিংরে
সত্যি বলতে কি, ওদেরকে দেখলে মাছ বলেই মনে হয় না, ওদের শরীর এমনই চ্যাপ্টা! এই স্টিংরে মাছ তো বটেই, হাঙ্গরদের জ্ঞাতি ভাইও। আর হাঙ্গরদের অন্যান্য জ্ঞাতি ভাইদের মতোই, ওদের শরীরেও কোনো হাড় নেই। হাড়ের বদলে ওদের শরীরে থাকে কার্টিলেজ। কার্টিলেজ চেনো? আমাদের নাকের আগায় যে নরম হাড়ের মতো অংশটি আছে না, সেটি-ই কার্টিলেজ।
এই স্টিংরেদের দেখতে মাছের মতো মনে হয় না কেন, বলেন তো? ওদের ইয়া বড়ো পাখার জন্য। ওই বড়ো পাখা দু’টির জন্য ওদেরকে বরং চ্যাপ্টা গোল একটা চাকতির মতো মনে হয়। এখন কথা হলো, এই গোল শরীর নিয়ে ওরা সাঁতার কাটে কি করে? অনেক স্টিংরে ঠিক সাঁতার কাটে না, ভেসে বেড়ায়। সাঁতার কাটার জন্য স্টিংরে ওদের পুরো শরীর নিয়েই নড়াচড়া করে। শরীর দুলিয়ে দুলিয়ে ওরা পানির নিচে ভেসে বেড়ায়। বাকিদের সাঁতার কাটার প্রণালী তো আরো মজার। ওরা সাঁতার কাটে না বলে বলা উচিত, ওরা পানির নিচে উড়ে বেড়ায়। পাখিরা যেমন বাতাসে ডানা ঝাপটে ওড়ে, এসব স্টিংরেও পানির নিচে ডানা ঝাপটে সাঁতার কাটে!
এই গোল চ্যাপ্টা শরীরের স্টিংরে মাছদের পেছনে একটা লম্বা লেজও থাকে। সেই লেজটাও ঠিক মাছের লেজের মতো নয়। এই লেজের কিন্তু একটা বিশেষত্বও আছে। এই লেজগুলো স্টিংরেদের আত্মরক্ষার হাতিয়ার। হয় এই লেজগুলো ভীষণ সরু আর ধাঁরালো, নয়তো বিষাক্ত। ধাঁরালো-ই হোক আর বিষাক্ত-ই হোক, আত্মরক্ষার হাতিয়ার হিসেবে দুই ধরনের লেজই ভীষণ কার্যকর। আর তাই, যে ধরনের লেজওয়ালা স্টিংরে-ই হোক, ওদের বেশি ঘাঁটানোর দরকার নেই। নইলে বিরক্ত হয়ে বা ভয় পেয়ে আপনার শরীরে লেজ গেঁথে দিলেই হয়েছে, আর দেখতে হবে না!
স্টিংরেরা সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোর সাগরের অগভীর অংশে বাস করে। আর দিনের বেশিরভাগ সময়েই ওরা সাগরের তলদেশে শুয়ে থাকে। শুয়ে থাকে মূলত দু’টি কারণে- হাঙ্গরের মতো শিকারী মাছদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে, আর শিকার ধরার জন্যে। আর মজার বিষয় কি ? সাধারণত ওদের গায়ের রংও হয় ওদের বাসভূমির কাঁদা বা বালুর রংয়ের মতোই।
স্টিংরেদের শরীরের সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা কি? ওদের চোখদু’টো তো শরীরের ওপরের দিকেই; নাক আর মুখ কিন্তু নিচের দিকে। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওরা চোখে দেখে শিকার করে না, বরং শিকার করার জন্য অন্য কৌশল ব্যবহার করে। শিকার করার জন্য ওদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের সেন্সর আছে। এই সেন্সরের সাহায্যে ওরা শিকারের শরীর থেকে বের হওয়া হালকা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ টের পেয়ে যায়। তার মাধ্যমেই ওরা শিকার ধরে। আর ওদের শিকারের তালিকায় কারা আছে? নানা ধরনের ঝিনুক, চিংড়ি, কাঁকড়া- এমনি সব জলের পোকারা।
স্টিংরের বৈজ্ঞানিক নাম Dasyatidae। গড়ে ওরা বাঁচে ১৫-২৫ বছর। সাধারণত লম্বায় হয় দুই মিটার বা সাড়ে ৬ ফিট, আর গড়ে এক-একটির ওজন হয় ৭৯০ পাউন্ড বা ৩৫৮ কেজি। পৃথিবীতে প্রায় ৬০ প্রজাতির স্টিংরে আছে।
স্টিংরেদের শরীরের সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা কি? ওদের চোখদু’টো তো শরীরের ওপরের দিকেই; নাক আর মুখ কিন্তু নিচের দিকে। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওরা চোখে দেখে শিকার করে না, বরং শিকার করার জন্য অন্য কৌশল ব্যবহার করে। শিকার করার জন্য ওদের শরীরে এক বিশেষ ধরনের সেন্সর আছে। এই সেন্সরের সাহায্যে ওরা শিকারের শরীর থেকে বের হওয়া হালকা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ টের পেয়ে যায়। তার মাধ্যমেই ওরা শিকার ধরে। আর ওদের শিকারের তালিকায় কারা আছে? নানা ধরনের ঝিনুক, চিংড়ি, কাঁকড়া- এমনি সব জলের পোকারা।
স্টিংরের বৈজ্ঞানিক নাম Dasyatidae। গড়ে ওরা বাঁচে ১৫-২৫ বছর। সাধারণত লম্বায় হয় দুই মিটার বা সাড়ে ৬ ফিট, আর গড়ে এক-একটির ওজন হয় ৭৯০ পাউন্ড বা ৩৫৮ কেজি। পৃথিবীতে প্রায় ৬০ প্রজাতির স্টিংরে আছে।
সিন্ধুঘোটক বা সাগরের ঘোড়া
না, নাম দেখেই মনে করবেন না, ওরা বুঝি সত্যিই সাগরের ঘোড়া। সাগরের তলদেশে ওরা মোটেই বালু উড়িয়ে ছুটে বেড়ায় না। এমনকি, আকার-আকৃতিতেও ঘোড়ার সঙ্গে ওদের কোনো তুলনাও হয় না; সিন্ধুঘোটক বা সিহর্স নিতান্তই ছোট্ট একধরনের মাছ। তবু কেন ওদের নাম সিন্ধুঘোটক হলো? কারণ ওদের মাথা! ওদের মাথাটাই দেখতে ঘোড়া বা ঘোটকের মাথার মতো।
সাগরের নিচের এই ঘোড়া-মাথা মাছদের সাঁতার কাটার প্রণালীটিও কিন্তু কম মজার নয়। সামনে এগোনোর জন্য ওরা পেছনের লেজ ব্যবহার করে। পেছনের লেজটিকে আস্তে আস্তে দুলিয়ে ওরা এগিয়ে যায়। মানে, পেছনের লেজটি অনেকটা লঞ্চ বা জাহাজের প্রপেলারের মতো কাজ করে। এই প্রপেলার, মানে পেছনের লেজটি এদিক-ওদিক করে ডানে-বামেও যেতে পারে। কিন্তু উপরে-নিচে ওঠা-নামা করে কী করে? লেজ দুলিয়ে তো আর উপরে ওঠা বা নিচে নামা সম্ভব নয়।
ওঠা-নামা করার জন্য ওদের একটা আলাদা অঙ্গ আছে- সুইম ব্লাডার। এটাকে বলতে পারেন, ওদের শরীরের ভেতরে একটা বাতাসের পকেট। এই পকেটে বাতাস কমিয়ে-বাড়িয়ে ওরা ভেসে ওঠে কিংবা ডুবে যায়; মানে উপরে-নিচে ওঠা-নামা করে আরকি।
না, নাম দেখেই মনে করবেন না, ওরা বুঝি সত্যিই সাগরের ঘোড়া। সাগরের তলদেশে ওরা মোটেই বালু উড়িয়ে ছুটে বেড়ায় না। এমনকি, আকার-আকৃতিতেও ঘোড়ার সঙ্গে ওদের কোনো তুলনাও হয় না; সিন্ধুঘোটক বা সিহর্স নিতান্তই ছোট্ট একধরনের মাছ। তবু কেন ওদের নাম সিন্ধুঘোটক হলো? কারণ ওদের মাথা! ওদের মাথাটাই দেখতে ঘোড়া বা ঘোটকের মাথার মতো।
সাগরের নিচের এই ঘোড়া-মাথা মাছদের সাঁতার কাটার প্রণালীটিও কিন্তু কম মজার নয়। সামনে এগোনোর জন্য ওরা পেছনের লেজ ব্যবহার করে। পেছনের লেজটিকে আস্তে আস্তে দুলিয়ে ওরা এগিয়ে যায়। মানে, পেছনের লেজটি অনেকটা লঞ্চ বা জাহাজের প্রপেলারের মতো কাজ করে। এই প্রপেলার, মানে পেছনের লেজটি এদিক-ওদিক করে ডানে-বামেও যেতে পারে। কিন্তু উপরে-নিচে ওঠা-নামা করে কী করে? লেজ দুলিয়ে তো আর উপরে ওঠা বা নিচে নামা সম্ভব নয়।
ওঠা-নামা করার জন্য ওদের একটা আলাদা অঙ্গ আছে- সুইম ব্লাডার। এটাকে বলতে পারেন, ওদের শরীরের ভেতরে একটা বাতাসের পকেট। এই পকেটে বাতাস কমিয়ে-বাড়িয়ে ওরা ভেসে ওঠে কিংবা ডুবে যায়; মানে উপরে-নিচে ওঠা-নামা করে আরকি।
সিহর্স বা সিন্ধুঘোটকের লেজটাও কিন্তু মাছের লেজের মতো নয় একদমই। ওদের লেজটার একটা মজাও আছে। ওরা লেজটা দিয়ে কোনোকিছুকে আঁকড়েও ধরতে পারে!
সিন্ধুঘোটকদের বাবারা কিন্তু যেন তেন বাবা নয়, অমন বাবা খুঁজে পাওয়া ভীষণ মুশকিল। মা সিন্ধুঘোটকরা একসঙ্গে ডজন-ডজন ডিম পাড়ে, মাঝে মাঝে শ’ খানেক ডিমও পাড়ে একসঙ্গে। এই ডিমগুলো পেড়ে তা দিতে কোথায় রাখা হয়, জানেন? বাবা সিন্ধুঘোটকরে শরীরের একটি থলেতে। এই থলেকে বলে ব্রুড পিচ। অনেকটা মা ক্যাঙ্গারুর পেটের থলের মতো। পার্থক্য কেবল, ক্যাঙ্গারুদের মায়ের পেটে থলে থাকে, সিন্ধুঘোটকদের বাবার।
তারপর বাবা সিন্ধুঘোটকরা থলের ভেতরে সব বাচ্চাগুলোকে বড়ো করতে থাকে। প্রায় ৪৫ দিন পরে, বাচ্চা সিহর্সরা একটু বড়ো হলে, তারপর বাচ্চাগুলোকে বাবা সিন্ধুঘোটক সাগরে ছেড়ে দেয়।
সিন্ধুঘোটকের বৈজ্ঞানিক নাম Hippocampus zosterae। আবার শুধু প্রশান্ত মহাসাগরের সিন্ধুঘোটকদেরই আলাদা একটা বৈজ্ঞানিক নাম আছে- H. ingens। ওরা সাধারণত লম্বায় ২ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। পৃথিবীতে প্রায় ২৫ প্রজাতির স্টিংরে আছে।
সিন্ধুঘোটকদের বাবারা কিন্তু যেন তেন বাবা নয়, অমন বাবা খুঁজে পাওয়া ভীষণ মুশকিল। মা সিন্ধুঘোটকরা একসঙ্গে ডজন-ডজন ডিম পাড়ে, মাঝে মাঝে শ’ খানেক ডিমও পাড়ে একসঙ্গে। এই ডিমগুলো পেড়ে তা দিতে কোথায় রাখা হয়, জানেন? বাবা সিন্ধুঘোটকরে শরীরের একটি থলেতে। এই থলেকে বলে ব্রুড পিচ। অনেকটা মা ক্যাঙ্গারুর পেটের থলের মতো। পার্থক্য কেবল, ক্যাঙ্গারুদের মায়ের পেটে থলে থাকে, সিন্ধুঘোটকদের বাবার।
তারপর বাবা সিন্ধুঘোটকরা থলের ভেতরে সব বাচ্চাগুলোকে বড়ো করতে থাকে। প্রায় ৪৫ দিন পরে, বাচ্চা সিহর্সরা একটু বড়ো হলে, তারপর বাচ্চাগুলোকে বাবা সিন্ধুঘোটক সাগরে ছেড়ে দেয়।
সিন্ধুঘোটকের বৈজ্ঞানিক নাম Hippocampus zosterae। আবার শুধু প্রশান্ত মহাসাগরের সিন্ধুঘোটকদেরই আলাদা একটা বৈজ্ঞানিক নাম আছে- H. ingens। ওরা সাধারণত লম্বায় ২ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। পৃথিবীতে প্রায় ২৫ প্রজাতির স্টিংরে আছে।
বেলুন মাছ
না, এই মাছটি আজকের গল্পের অন্য মাছ দু’টির মতো দেখতে অমন কিম্ভূত নয়, যে দেখে মাছ-ই মনে হয় না। তবে এই মাছটির নাম যেমন বেলুন, এই মাছটিও মাঝে-মধ্যে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। তখন কে বলবে, এটি আসলে একটি মাছ! একটু আগেও দেখতে একটা সাধারণ মাছেরই মতো ছিলো!
বেলুন মাছের ইংরেজি নাম পাফারফিশ। এই পাফারফিশের মতো কিছু মাছ আমাদের দেশের নদীগুলোতেও আছে; আর সে সব মাছের নাম আপনারা সব্বাই শুনেছেন। কেন, পটকা মাছের নাম শোনেনি বুঝি? কিংবা টেপা মাছের নাম?
এখন প্রশ্ন হলো, এই অদ্ভূত মাছটা কেন অমন করে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে, তাই না? উত্তরটাও খুব সহজ, যখনই পাফারফিশ দেখে, অবস্থা সুবিধের নয়, ব্যস! শরীরে পানি ঢুকিয়ে বেলুনের মতো ফুলে যাবে। আর ওর শরীর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য কাঁটা। ও শরীর ফোলালেই সেসব তীক্ষè লম্বা কাঁটাগুলো একদম সজারুর কাঁটার মতো শক্ত হয়ে যায়, একদম খাঁড়া খাঁড়া হয়ে যায়। আর তাই দেখে কে আর ওকে আক্রমণ করতে যাবে? কাঁটায় কামড়ে দিয়ে মুখে ঘাঁ বানাবে নাকি!
আচ্ছা, এবার আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেনতো- গাছের পাখিদের মধ্যে নিশাচর আছে, বনের পশুদের মধ্যে নিশাচর আছে, আর জলের মাছেদের মধ্যে নিশাচর থাকবে না, তাই কি হয়? তাই যদি হয়, তাহলে দু-একটা নিশাচর মাছের নাম বলুন তো দেখি? আচ্ছা, দাঁড়ান, আমি-ই বলে দিচ্ছি- বেলুন মাছ, মানে পাফারফিশ। এরা দিনের বেলায় প্রবালের ফাঁকে-ফোকরে লুকিয়ে থাকে। আর রাতের বেলায় শিকার করতে বের হয়। অবশ্য শিকারী হিসেবে এরা খুব নামকরা নয়। ওদের শিকারের তালিকায় আছে শামুক ও কাঁকড়ার মতো সব জলজ প্রাণী।
বেলুন মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Tetraodontidae। পৃথিবীতে প্রায় ১২০ প্রজাতির এ মাছ আছে। আর এগুলোর বেশিরভাগই কিন্তু খুবই বিষাক্ত। ওরা কিন্তু যেনতেন বিষাক্ত নয়, মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীদের তালিকা করলে, এই বেলুন মাছ থাকবে দুই নাম্বারে! ওদের শরীরের কিছু অংশ এতো বিষাক্ত, অন্য কোনো প্রাণী খেলেই মারা যায়। এমনকি, অনেক প্রজাতির বেলুন মাছের ত্বকও খুব বিষাক্ত।
এমন বিষাক্ত মাছ আবার কেউ খায়? জাপান, কোরিয়া আর চীনের মানুষ খায়। অবশ্য যে কেউ রান্না করলেই এই মাছ খাওয়া যায় না। এই মাছ রান্না করার জন্য সেরকম পাকা রাঁধুনী দরকার। যে জানে, মাছটির কোন অংশগুলো বিষাক্ত না। তবেই সেই রান্না খাওয়া সম্ভব। নইলে, বেলুন মাছ খেয়েই পটল তুলতে হবে!
কী, দেখলেন তো, মাছ হয়েও ওরা কেমন অদ্ভূত চেহারা আর স্বভাবের অধিকারী! স্টিংরে আর পাফারফিশ- দু’টি মাছই কিন্তু বেশ ভয়ংকর। স্টিংরে’র লেজের গুঁতো খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। আর পাফারফিশ খাওয়া তো একরকম আত্মহত্যা করাই, সেটা যদি ওরকম পাকা রাঁধুনীর রান্না না হয়।
এমন বিষাক্ত মাছ আবার কেউ খায়? জাপান, কোরিয়া আর চীনের মানুষ খায়। অবশ্য যে কেউ রান্না করলেই এই মাছ খাওয়া যায় না। এই মাছ রান্না করার জন্য সেরকম পাকা রাঁধুনী দরকার। যে জানে, মাছটির কোন অংশগুলো বিষাক্ত না। তবেই সেই রান্না খাওয়া সম্ভব। নইলে, বেলুন মাছ খেয়েই পটল তুলতে হবে!
কী, দেখলেন তো, মাছ হয়েও ওরা কেমন অদ্ভূত চেহারা আর স্বভাবের অধিকারী! স্টিংরে আর পাফারফিশ- দু’টি মাছই কিন্তু বেশ ভয়ংকর। স্টিংরে’র লেজের গুঁতো খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। আর পাফারফিশ খাওয়া তো একরকম আত্মহত্যা করাই, সেটা যদি ওরকম পাকা রাঁধুনীর রান্না না হয়।
0 comments: