পৃথিবীটা ঠিক গোল নয়, অনেকটা কমলালেবুর মতো। মহাবিশ্বের একটি গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। এর রয়েছে একমাত্র উপগ্রহ, চাঁদ। আর পৃথিবীর তো প্রতিদি...

এলিয়েন ভীন গ্রহের প্রাণী!!! (এলিয়েন কত প্রকার ও কি কি?)

8:13:00 PM Mainuddin 0 Comments

পৃথিবীটা ঠিক গোল নয়, অনেকটা কমলালেবুর মতো। মহাবিশ্বের একটি গ্রহ হলো আমাদের এই পৃথিবী। এর রয়েছে একমাত্র উপগ্রহ, চাঁদ। আর পৃথিবীর তো প্রতিদিন বিরামহীনভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলা আছেই। প্রতিবেশী হিসেবে পৃথিবী পেয়েছে ৮ টি গ্রহ এবং তাদের অনেক চাঁদ।  তবে রাতের আকাশে তাকালে দেখা যায়, ঐ অনেক দূরে মিটি মিটি করে জ্বলছে আর নিভছে লক্ষ কোটি নক্ষত্র, এদেরকে আমরা অবশ্য তারা বলেই চিনি।
অন্ধকারের জন্য আমরা তো আলো জ্বেলে রাখি। ঐ দূর আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের বুকে আর কোথাও কি কেউ আমাদের মতো আলো জ্বেলেছে? আমাদের  মতো কেউ কি ভাবছে এই মহাবিশ্বে তারা ছাড়াও কেউ আছে কিনা?


এই মহাবিশ্বে আমরা কি একাই! পৃথিবী ছাড়া আর কোথাও কি আমাদের মতো কেউ নেই? তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু বলেছেন, আমরা একা নই। আমাদের মতো আরো অনেক বুদ্ধিমান প্রাণীই নাকি ছড়িয়ে আছে পুরো মহাবিশ্বে।

যদি থেকেই থাকে আমাদের মতো প্রাণী তবে তারা কেমন? খায়ই বা কি? তাদের কি আমাদের মতোই বুদ্ধি আছে, নাকি স্রেফ তারা পোকামাকড়ের মতো বা গাধার মতো বোকাসোকা। এমনও তো হতে পারে তারা আমাদের থেকেও অনেক বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন। তবে তাদের কি ইচ্ছা করে না এই বিশ্বের কোথায় কি আছে সেটি দেখে আসার। নিশ্চয়ই তাদের এই ইচ্ছা করে। নাহলে কিভাবে পৃথিবীতে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কিছু অদ্ভুত চেহারার জীব। চোখের পলকেই আবার তারা মিলিয়েও যায়। তারা কি তবে ভীনগ্রহের বাসিন্দা, এলিয়েন?
পৃথিবীতে এলিয়েন

এলিয়েনরা যদি পৃথিবীতে এসে থাকে তবে কেনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে না? এর কারণটি হয়তো অজানা। তবে আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, তারা হয়তো আমাদের ভাষা বুঝতে পারে না। বা আমরা তাদের ভাষা বুঝি না । কিন্তু তাদের তো নিশ্চয়ই ভাষা পরিবর্তন করে নেবার ক্ষমতা থাকে। অন্তত সিনেমাতে তো আমরা তাই দেখে আসছি সেই আগে থেকেই, তাই না? আসলে এগুলোর সবই কল্পনা। বিশেষ করে যারা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখেন, সেসব লেখকদের কল্পনা। আর বিভিন্ন সিনেমায় তাদের বিভিন্ন রূপে পরিচালকরা তুলে ধরেন।

স্টিফেন হকিং-এর নাম শুনেছেন না? ঐ যে হুইলচেয়ারে বসে থাকা মহান এক বিজ্ঞানী। তিনি কিছুদিন আগে কি বলেছেন শোনেন। তিনি বলেছেন, এলিয়েন আছে, অবশ্যই আছে। এতো বড়ো মহাবিশ্ব আর এতো এতো গ্রহ নক্ষত্র, ছায়াপথ, এদের মধ্যে কি কোথাও নেই এলিয়েন! তিনি বিশ্বাস করেন অবশ্যই এলিয়েন আছে। শুধু আমরাই তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে একদিন তো তাদের পাওয়া যাবেই।

আচ্ছা ভাবেন তো, আপনি রাস্তা দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, হঠাৎ দেখলে ঠিক আপনারই মতো কেউ একজন আপনার দিকে হেঁটে আসছে। পরণে তার অদ্ভুত পোশাক। সে কি যেনো ইশারা করছে। যেইনা আপনি কথা বললেন অমনি আপনার কথা নকল করেই সে বললো। আমার নাম গ্রে। আমি আসছি টাইটান থেকে। এখন বলেন, আপনি কি আমার বন্ধু হবেন? কি বলবেন তখন? এমনটি তো হতেই পারে। অন্তত এলিয়েন হয়ে থাকলে এরকম করা বিচিত্র কিছু না।
যান বাহন

এলিয়েনরা কি চড়ে পৃথিবীতে আসে? আমরা অনেক সিনেমায় দেখেছি এলিয়েনরা বিশাল বিশাল মহাকাশযানে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। এই মহাকাশযানগুলো নিয়েও গবেষণার শেষ নেই। কেউ বলে এদেরকে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকতি, আবার কেউ বলে আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা সংক্ষেপে ইউএফও। এই ফ্লাইং সসারে করে এলিয়েনরা দূর কোনো গ্রহ থেকে চোখের পলকে পৃথিবীতে আসে এবং আবার চলেও যায়। তবে তাদের গতির কাছে আমরা হার মেনে যাই। অর্থাৎ আমাদের বিজ্ঞান হার মেনে যায়। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় এই সসার দেখতে পেয়েও তাকে সনাক্ত করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই সেটি অসনাক্তই থেকে গেছে। আবার জোর করে কেউ বলতেও পারছে না যে এগুলো সব মিথ্যে। কারণ হিসেবে অনেক প্রমাণও যে রয়েছে সবার সামনে, যাতে এলিয়েনদের যান বলেই তাদেরকে সনাক্ত করা যায়।

স্কুল আর জামা-কাপড়


এসব এলিয়েনদের স্কুলে যাবার ব্যবস্থাও নাকি আছে। তবে সবাই কিন্তু স্কুলে যাবার সুযোগ পায় না। কেবল যেসব এলিয়েন লম্বা তারাই পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। আর এমনই একদল ছাত্র এলিয়েন নাকি পৃথিবীতে পড়তে এসেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কোনো এক বনের মধ্যে এই এলিয়েন দলদের পড়াচ্ছিলেন তাদেরই এক শিক্ষক। আর এই ঘটনা দেখে ফেলেন বিখ্যাত লেখক হোয়াইটি স্ট্রেইকার। তিনি তার ‘সিক্রেট স্কুল : প্রিপারেশন ফর কন্ট্রাট‘ বইতে এদের কথা লিখেছেন।

আমরা প্যান্ট, শার্ট, জুতা, হাতঘড়ি কতো কিছুই তো পরি, কিন্তু এলিয়েনরা কি পরে? যারা এলিয়েন দেখেছেন তাদের ভাষ্য, এলিয়েনরা নাকি কিছুই পরে না। ব্যাপারটা একটু কেমন হয়ে গেলো না! প্রশ্ন জাগে, তবে ওরা কি এখনও কাপড় আবিষ্কার করতে পারেনি? তার অর্থ, এলিয়েনরা কি আমাদের চেয়ে বুদ্ধিতে এখনও পিছিয়ে আছে? ওরা কি তবে পৃথিবীতে কাপড় চুরি করতেই আসে! এটা কিন্তু ভাবা ঠিক হবে না। যে প্রাণী অন্য গ্রহ ঢুঁড়ে বেড়াতে পারে তার অন্তত কোথাও কাপড় চুরি করতে হয় না এটা সবাই বোঝে।

অন্যদিকে, আরো যারা এলিয়েন দেখেছেন তাদের দাবি, এলিয়েনরা লম্বা লম্বা জোব্বা পরেই থাকে। তাদের মুখ ঢাকা থাকে লম্বা হুডে। তারা দেখতেও ভয়ংকর হয়। আবার কেউ কেউ বলেছেন ক্লোজ ফিটিং জাম্পস্যুট পরে থাকে এলিয়েনরা। ঠিক সুপারম্যানের মতো। আবার রোবটের মতো বিভিন্ন পদার্থের আবরণও নাকি তারা পরে থাকে।
হরেক রকম এলিয়েন!

চলেন- এবারে শোনা যাক, এলিয়েন কতো রকমের হয়। এলিয়েনদের আবার ভাগ কি? যাদের কথা এখনও মানুষ নিশ্চিত করে কিছু বলতেই পারছে না তাদের আবার রকম? এলিয়েন নিয়ে মানুষ নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে এলিয়েন ৫৮ রকমের হতে পারে। মানে যদি এলিয়েন থেকে থাকে তাহলে এই ৫৮ ভাগের মধ্যেই তাদের অবস্থান হবে। আবার এদের মধ্যেই স্টার কিডজ প্রজেক্টের পরিচালক রিচার্ড বয়লান এই এলিয়েনদের বিভিন্ন ভাগের কথা বলেছেন।

আমাদের মধ্যে যেমন মানুষ, পশু পাখি সব আলাদা এলিয়েনদেরও নাকি সেরকমই। এ পর্যন্ত পৃথিবীতে যতোগুলো এলিয়েন দেখা গেছে, তার মধ্যে সবচে বেশি দেখা গেছে জেটাস এলিয়েনদের। একেক জেটাস একেক রকম। তবে কোন গ্রহের জেটাস তার ওপর ভিত্তি করে এদের ভাগ করা হয়।

গ্রে এলিয়েন

জেটাসের মধ্যে সবচে পরিচিত হলো ‘গ্রে’ এলিয়েনরা। এরা দেখতে ছোটো-খাটো গড়নের, ঠিক যেনো মানুষের মতোই। তবে এরা মানুষের সমান লম্বা হতে পারে না। ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’ সিনেমার জাদুর কথা মনে আছে? সেই জাদুর মতো দেখতে হয় গ্রে এলিয়েনরা। এদের গায়ের রং হয় ধূসর সাদা, মাথাটা বেশ বড়ো। তবে কোনো চুল থাকে না। চোখ টানা টানা, মাথার দিকে আড়াআড়ি, ভ্রু এর লেশ নেই। আর এদের চিবুক ঠিক ইংরেজি অক্ষর ভি-এর মতো। গ্রে এলিয়েনদের মুখ থাকলেও আদতে ঠোঁট থাকেনা। শক্ত হাত প্রায় হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হয় এদের। হাতে থাকে মাত্র তিনটি আঙ্গুল। এ আঙ্গুলে কোনো গিঁট থাকে না আবার কোনো নখও থাকে না।

এরকম ছোটো জেটাস ছাড়াও প্রায় মানুষের সমান লম্বা জেটাস এলিয়েনও আছে। তারা কেউ কেউ মাশরুমের মতো সাদা, বাদামী, কালো, চোখ লম্বা, নীল চোখোও হয়ে থাকে। এদের গঠন সাধারণত কোন গ্রহে বাস করে তার উপর নির্ভর করে। ধরো, যদি মঙ্গল গ্রহের কোনো এলিয়েন হয় তার গায়ের রং হবে লালচে। কারণ এ গ্রহের রঙই তো লাল।
প্রেয়িং মেন্টিস
এবারে শোনেন লম্বাটে সরু মুখ ওয়ালা ‘প্রেয়িং মেন্টিস’ জাতীয় এলিয়েনের কথা। এদের চোখও জেটাসদের মতো লম্বা সরু। তবে প্রেয়িং মেন্টিসদের চোখ অনেকটা ইংরেজি ভি অক্ষরের মতো, ওঠানামা করে। হাত-পা গুলো খুবই সরু হওয়াতে এদের দেখতে তাই অনেকটা পোকার মতোই লাগে। ঠিক কোমরের  কাছ থেকে পোকার মতো হাত পা গজায় এদের। কিন্তু দেখতে পোকার মতো হলেও মাথায় অনেক বুদ্ধি রাখে এরা। প্রেয়িং মেন্টিসদের পোশাকটি অনেক উজ্বল হয়ে থাকে। এমনকি সেটি সূর্যের মতো উজ্বলও হতে পারে।

রেপটেলিয়ানস
এবার চলেন পরিচিত হওয়া যাক ‘রেপটেলিয়ানস, বা রেপটোডিস’ নামের এলিয়েনদের সঙ্গে। এরা দেখতে অনেকটা কুমিরের মতো। আবার কখনও কখনও ড্রাগনের মতোও হয়। মুখটা অনেকটা ডিম্বাকৃতি। রেপটেলিয়ানসদের চামড়া অত্যন্ত রুক্ষ হয়, মনে হয় কোনো পাথুরে গ্রহে এদের বাস। এদের চোখ হলদে-নীল এবং আকারে ডিম্বাকৃতির। একটা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী এই প্রজাতির এলিয়েনরা। এরা মনের ভাষা পড়তে পারে। রেপটেলিয়ানসদের সামনে পড়লে মনে মনে যাই ভাবো না কেনো, কি ভাবছো সেটা কিন্তু আগে ভাগে বুঝে ফেলার ক্ষমতা এই এলিয়েনদের আছে। তুমি যদি ভালো হও তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে তার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি তার কাছে মনে হয় তুমি কোনো কুমতলব করছো তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ!

জাওয়াস
এবার যাদের কথা বলছি, তারা হলো- স্টার ওয়ার্স সিনেমায় দেখা চরিত্রগুলোর মতো। ‘জাওয়াস’ নামেই তাদেরকে পরিচিত করিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদের কাপড়-চোপড় পরার ধরণটাই আলাদা, মাথায় হুড এবং মুখে পর্দা লাগিয়ে চলাফেরা করে। লম্বায় বেশ খাটো, মাত্রই সাড়ে চার ফুটের মতো। জাওয়াসদের মুখ দেখা যায় না। কারণ যে হুড এরা পরে থাকে সেটির ছায়া এদের মুখকে অন্ধকার করে রাখে। এই এলিয়েনরা আবার টেলিপ্যাথিও জানে। তাই একজন কি ভাবছে তা আরেকজন সহজেই জেনে যায়। এরা নাকি টেলিপ্যাথির মাধ্যমে মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। এভাবে জাওয়াসদের সঙ্গে দেখা করার কথা অনেকেই বলে থাকেন।

রোবট
আরো আছে রোবট এলিয়েন। তবে যেসব রোবট এলিয়েন পৃথিবীতে এসেছে তারা নাকি ঠিক এলিয়েন নয়। কেবল দূর কোনো গ্রহে বাস করা এলিয়েনদের পাঠানো দূত হলো এই রোবটেরা। যেমন আমরা পৃথিবী থেকে অনেক রোবট বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি, ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই।
টল হোয়াইটস
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক পাইলট চার্লস হল, ‘টল হোয়াইটস’ নামের এক ধরনের এলিয়েন এর বর্ণনা দিয়েছেন। এই এলিয়েনরা নাকি বাস করে আর্কাটারাস নামের একটি নক্ষত্রের কাছাকাছি কোথাও। লম্বায় ৬ ফুট এই এলিয়েনরা দেখতে অনেকটা মানুষের মতোই। তবে মানুষের চেয়ে বড়ো নীল রঙের চোখ এদের। চুল রাখে বড়ো বড়ো, আর এই চুলেরই পোশাক পরে থাকে। অনেকটা অ্যাভাটার সিনেমার দেখা এলিয়েনদের মতোই এদের গড়ন। তবে টল হোয়াইটসদের দেহের রং নীল না হয়ে সাদাটে হয়ে থাকে। হাতে থাকে ৪ টি আঙুল। এই আঙুলে আবার খুবই শক্ত নখ থাকে। এদের কেউ কেউ আবার জাম্পসুট পরে। যেসব মহাকাশযানের গল্প আমরা হরহামেশাই শুনি, এরা সেইরকম মাহাকাশযান নিয়েই ঘোরে। নিজস্ব মহাকাশযানে তারা যেকোনো দূরত্ব নিমেষেই পার হয়ে যায়।

হরেক রকম এলিয়েন নাকি হরহামেশাই পৃথিবীতে ঘুরে যাচ্ছে। তবে আমরা তা সবসময়ই টের পাচ্ছি না। যখন টের পাচ্ছি, তখন আর কিছু করার থাকছে না। তবে এলিয়েন যে এই মহাবিশ্বে আছে সেটা নিশ্চিত। মানুষ যদি পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহে যায় সেখানে সেও তো এলিয়েন নাকি? সেই গ্রহের অধিবাসীরা কি মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে? নাকি আমাদের পৃথিবীতে আসা এলিয়েনরা সবাই ভালোই হবে? ভাগ্য ভালো যে আমরা এখনও কোন খারাপ বা দুষ্টু এলিয়েনদের খপ্পরে পড়িনি, তাই না?

সূত্র: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

0 comments: