পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখি!!
হামিং বার্ড
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখিটি হচ্ছে হামিং বার্ড। এর ওজন মাত্র ১.৮ গ্রাম আর দৈর্ঘ্য ৫ মিটার। তবে মজার বিষয় হচ্ছে পুরুষ হামিং বার্ড গুলো কিন্তু আকারে মেয়ে হামিং বার্ড থেকে ছোটো হয়ে থাকে। শুধু আকারে নয় আরো পার্থক্য আছে মেয়ে এবং পুরুষ হামিং বার্ডের মধ্যে।
পুরুষ পাখি গুলোর লোম সবুজ রঙের হয়। এদের পাখা গুলো উপরের দিকটা নীল বর্ণের আর শরীরের নিচের দিকটা বেশিরভাগ সময় ধূসর সাদা হয়ে থাকে। অপরদিকে মেয়ে পাখিদের মাথার ওপরের দিকটা নীলচে সবুজ রঙ এর হয়, সরু লেজটিতে থাকে সাদা রঙের ফোটা ফোটা দাগ। হামিং বার্ড যে শুধু তার রঙের জন্য বিখ্যাত তা কিন্তু ভেবো না। ছোটো হলে কি হবে এদের শরীরে কিন্তু অনেক শক্তি আছে। হেলিকপ্টার যত উঁচুতে উড়ে হামিং বার্ডও ঐ উচ্চতায় উঠতে পারে। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো এরা প্রজাতিভেদে সেকেন্ডে ১২ থেকে ৯০ বার নিজেদের পাখা নাড়াতে পারে। এ কারণেই চোখের পলকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পারে হামিং বার্ড। সাধারণত এদের ওড়ার গতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হলো এরা কেবল সামনে নয়, পেছন দিকেও উড়তে পারে।
আমাদের মতো এদেরও কিন্তু রঙের পছন্দ অপছন্দ আছে। এরা লাল রঙের ফুল বেশি পছন্দ করে। তাই বেশির ভাগ সময় হামিং বার্ড লাল রঙের ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করে থাকে। মধু খাবার সঙ্গে সঙ্গে এরা গাছেরও কিছু উপকার করে দেয়। কারণ হামিং বার্ড যখন ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় তখন এদের পায়ের এবং পাখার সঙ্গে ফুলের রেণু জড়িয়ে যায়। এতে গাছের পরাগায়ণ ভালো হয়। এই কাজগুলো সাধারণত করে থাকে মৌমাছি। মৌমাছির সঙ্গে এদের স্বভাবের মিলের কারণে অনেকেই হামিং বার্ডকে বড়ো মৌমাছি বলে থাকে। হামিং বার্ড দিনে প্রায় ১৫০০ ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে।
বাসা বানানোর ব্যাপারে পুরুষ পাখিগুলোর কোনো মাথাব্যাথা নেই। এই কাজ মেয়ে পাখিগুলোকেই করতে হয়। বাসা তৈরি করার জন্য এরা মাকড়সার জাল, গাছের বাকল এবং বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ব্যবহার করে। বাসার আকার দেখতে হয় ঠিক কাপের মতো। একটি মেয়ে হামিং বার্ড এক সঙ্গে দুইটি ডিম পাড়ে। এদের ডিমগুলো এতই ছোটো যে দেখলে শস্য দানা মনে হয়। মা পাখিটি ডিমগুলো তার ছোট্ট বাসায় রাখে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো এই পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৫ বছর হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো এই পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৫ বছর হয়।
দৈর্ঘ্য ৫ মিটার না মিলিমিটার!!!!!
ReplyDeleteলেখাটা ভাল লেগেছে।
মঈনউদ্দিন ভাই কেমন আছেন? পাখিটা সম্পর্কে জানতাম। দেখেছিলাম ন্যাশন্যাল জিয়োগ্রাফিতে। আপনার পোষ্টা প্রোশংসার যোগ্য।
ReplyDelete