12:19:00 PM
একাত্তরের এই দিনে অধিকৃত বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিটি রণাঙ্গনে যুদ্ধ চলছিল। একের পর এক শত্র“ ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে মুক্তিব...
12:19:00 PM
৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
একাত্তরের এই দিনে অধিকৃত বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিটি রণাঙ্গনে যুদ্ধ চলছিল। একের পর এক শত্র“ ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে মুক্তিবাহিনীর বীরযোদ্ধারা চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে মুক্তাঞ্চলগুলোতে সমবেত হতে শুরু করেন। সঙ্গে ছিল ভারতীয় মিত্রবাহিনী। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতায় বিশাল সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার দেশের সক্রিয় সহযোগিতার ঘোষণা দেন। ইন্দিরা গান্ধীর এ ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে যায়, বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে যাচ্ছে ভারত। এ সংবাদে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ মানুষ খুশিতে রাস্তায় নেমে আসে। শরণার্থী শিবিরগুলো ভাসতে থাকে আনন্দের জোয়ারে। এদিকে পরাজয় অনিবার্য জেনে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে পাকিস্তান। এদিন পাকিস্তানের অনুরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের উভয় রণাঙ্গনে দু’দেশের সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারতের অনুরোধে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এ প্রস্তাবে ভেটো দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর ফলে পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত আদায়ে ব্যর্থ হয়। এদিন মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী চারদিক দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। যৌথ বাহিনীর তিনটি ডিভিশন যশোর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ঢাকা অভিমুখে এগুতে থাকে। মুক্তিসেনারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা দখলদারমুক্ত করেন।
0 comments: