এ কথা কারও বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবে গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যারা কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের বিভিন্ন জীবাণু এবং রোগবালাই...

কর্মস্থলের কম্পিউটার টয়লেটের চেয়েও বেশি জীবাণুযুক্ত!

7:23:00 PM Mainuddin 0 Comments

 

এ কথা কারও বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবে গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যারা কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের বিভিন্ন জীবাণু এবং রোগবালাইয়ে সংক্রমিত হওয়ার ঝুকি অনেক বেশি।
নতুনভাবে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করা কম্পিউটারের মাউস টয়লেটের বসার স্থান থেকেও তিন গুণ বেশি নোংরা বা জীবাণুযুক্ত। অফিসে ব্যবহার করা ১৫৮টি বিভিন্ন সামগ্রীর ওপর এই গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। সেখানে কম্পিউটার কি-বোর্ড ও মাউসকে সবচেয়ে বেশি জীবাণুযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অফিসগুলোতে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। অফিসে সকালে কিংবা দুপুরে খাওয়ার সময়ও তারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করছে। আর এ কারণেই টয়লেটের চেয়ে ক্ষতিকর এবং তিন গুণ বেশি জীবাণু কম্পিউটারের মাউসে কিংবা কি-বোর্ডে থাকছে। এসব জীবাণুতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদের বেশি। এমনকি ওয়ার্কস্টেশনকে বেশি নোংরা করতে কর্মক্ষেত্রে পুরুষরা এগিয়ে। গবেষণার ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষরা ৪০ ভাগ বেশি অপরিষ্কার থাকে এবং ওয়ার্কস্টেশনকে অপরিষ্কার রাখে।
ওয়ার্কস্টেশনে বসে খাওয়া-দাওয়া করলে এবং সেইসঙ্গে কাজ করলে খাদ্য টুকরাগুলো কম্পিউটারের কী-বোর্ডের মধ্যে ঢুকে যায়। এসব চর্বিযুক্ত এবং রুটিসহ বিভিন্ন খাদ্যকণা ঢুকে ছারপোকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবনচক্রে সহায়তা করে।
বিশেষ করে দেখা যায়, এক মাসেও কম্পিউটারটি ভালোভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এজন্য জীবাণুগুলোও বংশবিস্তারে নিশ্চিত থাকে।
ফলে কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটারে কাজ করার সময় খাওয়া-দাওয়া করলে জীবাণুগুলো মাউস থেকে খাদ্যের সঙ্গে মুখের মধ্যে চলে আসে। ক্ষতিকারক কিছু ব্যাকটেরিয়া গলায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
এই সার্ভেতে দেখা যায়, কম্পিউটার মাউসের সবচেয়ে কাছে থাকে কী-বোর্ড। এজন্য নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যবহার করা কী-বোর্ড ও মাউসটিকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে আপনার ডেস্ক বা ওয়ার্কস্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখার পাঁচটি টিপস :
—আপনার ব্যবহার করা কম্পিউটারটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
—কম্পিউটারের স্ক্রিন নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। তাহলে যে ধুলো জমে থাকে তা মুছে যাবে। এখানে অব্যশ্যই মনে রাখবেন, পানি এবং টয়লেট পেপার দিয়ে স্ক্রিন মুছবেন না। আপনার যদি ডাস্ট অ্যালার্জি থাকে তবে প্রতিদিন কম্পিউটার মুছে ফেললে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।
—কী-বোর্ডটি উল্টিয়ে আলতো করে ঝাঁকি দিতে হবে। ফলে এর ভেতরে থাকা ধুলো, ময়লা, খাদ্যকণা বেরিয়ে আসবে। পরে কাঠির মাথায় তুলো পেঁচিয়ে আপনি কী-বোর্ডের ফাঁকা স্থানগুলো পরিষ্কার করতে পারেন।
—মাউসটিকে প্রতিদিন মুছে নিয়ে ব্যবহার করুন। খাওয়ার সময় মাউস ধরবেন না। তারপরও মাউস ব্যবহারের পর খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন।
—কাজের সময় কখনও খাবেন না। দুপুরে বা সকালে খাওয়ার জন্য আলাদা স্থানে বসে খাবেন। কম্পিউটারের সামনে বসে খাবেন না। তাহলে আপনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

সৌজন্যেঃ আমারদেশ