ছবির পরত (লেয়ার) এবং বিভিন্ন ফরম্যাট
ছবির ফাইল তো খুব দেখেন। কত jpg gif ফাইল দেখেছেন জীবনে। কিন্তু সেগুলোর কি লেয়ার থাকে? না থাকে না। কারণ সেসব ফরম্যাটে লেয়ার সাপোর্ট করে না। বুঝতে পারছেন না? বুঝলে ভাল, না বুঝলে আরো ভাল...! 
চিন্তা করে দেখুন তো আপনি একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য ওয়ালপেপার
হিসেবে দিয়েছেন। সবুজ ঘাস, নীল আকাশ, সাদা মেঘ। এখন আপনি যদি হঠাৎ শখ করেন যে মেঘগুলোকে গায়েব করে দেবেন, তাহলে সেটাকে মুহূর্তের মধ্যে গায়েব করতে পারবেন না। কিন্তু যদি মেঘগুলো আলাদা লেয়ারে থাকতো তাহলে এক ক্লিকেই আপনি মেঘগুলোকে লুকিয়ে ফেলতে (Hide করতে) পারতেন।
লেয়ারের মাধ্যমে ছবির আলাদা আলাদা অংশগুলোকে আলাদা আলাদা রাখা হয়, যাতে সেগুলোর উপর আলাদাভাবে কাজ করা যায়। নিচের ছবিটা দেখুন:

(উপরের ছবিটা দেখলে লেয়ারের ধারণা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ক্লিক করে ছবিটাকে বড় করে দেখুন।)
শীতের দিনে ভাপা পিঠা তো খেয়েছেন নিশ্চয়ই। দেখেছেন তো কেমন চালের গুড়ো, গুড়, নারিকেলের পরত থাকে। পরতগুলো (বা লেয়ারগুলো) একটার উপর আরেকটা থাকে। ফটোশপেও একইরকম। তবে ফটোশপের সুবিধা হল চাইলে আপনি একটি লেয়ারকে উপরে-নিচে উঠাতে-নামাতে পারবেন, নাম পরিবর্তন করা যায়, মুছে ফেলা যায়, ইফেক্ট দেয়া যায় ইত্যাদি।

লেয়ার সব ফরম্যাটে সাপোর্ট করে না। লেয়ার সেভ করার জন্য সবচেয়ে ভাল ফরম্যাট হল .psd (অর্থাৎ ফটোশপ ডকুমেন্ট)। ফটোশপে Layers নামে একটি প্যালেট আছে দেখুন। (যদি সেটি না থেকে থাকে তাহলে Window - Layers মেনুতে ক্লিক করুন।) কোনো পিএসডি ফাইলে যদি লেয়ার থাকে তাহলে তা লেয়ারস প্যালেটে দেখা যাবে। টেস্ট করতে চাইলে নিচের .zip ফাইলটি ডাউনলোড করুন:
flag-of-bangladesh.zip (33 kb)
এখন ভিতরের .psd ফাইলটি Open করুন। এখন লেয়ারস প্যালেটে দেখবেন তিনটা লেয়ার দেখাচ্ছে। নিচের চিত্রে দেখুন লেয়ারস প্যালেটের সাহায্যে কত কি করা যায়:

এখন Green Background লেয়ারের উপরের লেয়ারের নামের উপর (Layer1) ডাবল ক্লিক করুন এবং টাইপ করুন "Red Circle" এবং এন্টার চাপুন।
সবার উপরের লেয়ারটায় "বাংলাদেশ" লেখাটা আছে। এখন মনে করুন আপনার বস আপনাকে বললো এই লেখাটা মুছে দিয়ে কিরকম লাগে সেটা দেখাতে। আপনি তো স্মার্ট একজন ডিজাইনার, আপনি আগেই লেয়ার আলাদা করে রেখেছিলেন। আপনি তখন শুধু উপরের লেয়ারের বামপাশের চোখে ক্লিক করে দিলেন, ব্যস! লেয়ারটা গায়েব করে দিলেন নিমিষেই।
আবার বস যদি বলে আগেরটাই ঠিক ছিল, তখন আপনি আবার চোখের জায়গায় ক্লিক করলেন, "বাংলাদেশ" লেখাটা আবার এসে গেল। আপনার বস তো এত দ্রুত কাজ দেখে পারলে তখনই আপনাকে দুটো বোনাস দিয়ে দেয়!
এখন আপনি zip এর ভিতরের jpg এবং gif ফরম্যাটের ফাইলও দেখতে পাবেন। সেগুলো যদি ওপেন করেন তাহলে দেখবেন সেগুলোতে লেয়ার নেই। আপনি যদি লেয়ার না রাখতেন, jpg gif ফরম্যাটে সেভ করতেন তাহলে দ্রুততার সাথে লেয়ার শো/হাইড করে দেখাতে পারতেন না।
---- ছবির ফরম্যাট ----
এখানে শুধু কয়েকটি ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা করছি, এগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়। বাকিগুলো সম্পর্কে ফটোশপ হেল্প থেকে জেনে নিতে পারেন। Help - Photoshop Help... মেনুতে ক্লিক করে হেল্প দেখতে পারবেন। (... আসলে সত্যি বলতে কি-আমি বাকিগুলো সম্পর্কে জানি না!!
)
BMP - Bitmap
বিটম্যাপ ফরম্যাটটি উইন্ডোজভিত্তিক একটি ফরম্যাট। এটি সাধারণত কোনো কমপ্রেশন ছাড়া ফাইল সেভ করার জন্য ভাল।
JPG বা JPEG - Joint Photographic Experts Group (JPEG) format
এই ফরম্যাটের ছবি খুব কমপ্রেস করা যায়। যত কমপ্রেস করা যায় ফাইল তত ছোট হয়। কিন্তু কমপ্রেস বেশি করা হলে ইমেজ কোয়ালিটিও খারাপ হয়ে যায়। কমপ্রেস করলে যেহেতু ফাইল সাইজ কম হয়, তাই ওয়েবসাইটে এই ফরম্যাটের ছবি খুব ব্যবহৃত হয়।
GIF - Graphics Interchange Format
কম রঙের ছবি এই ফরম্যাটে অনেক কম সাইজে সেভ করা যায়। কার্টুন, লোগো বা ক্লিপআর্ট জাতীয় ছবিতে সাধারণত কম রঙ থাকে বলে এগুলো এই ফরম্যাটে সেভ করা ভাল। ছবির রঙ যত কম হবে ফাইল সাইজ তত কম হবে।
যেমন: zip ফাইলের ভিতরে যে বাংলাদেশের পতাকা আছে সেটাতে কম রঙ আছে - লাল, সবুজ এবং সাদা। এজন্য gif ফরম্যাটে ওজন কম 4.64 kb যেখানে jpg ফরম্যাটের ওজন একটু বেশি 11.8 kb।
PNG - Portable Network Graphics
এই ফরম্যাটের একটা সুবিধা হল এতে (আলফা চ্যানেলের মাধ্যমে) ট্রান্সপ্যারেন্ট ছবি সেভ করা যায়।
আর PSD ফরম্যাট সম্পর্কে তো জানলেনই। ফটোশপের সব ফিচার এই ফরম্যাটে সংরক্ষিত করে রাখা যায়। তাই আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে চান তাহলে আপনার উচিৎ হবে মূল ফাইলটি .psd ফরম্যাটে সেভ করা। সেই ফরম্যাট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য ফরম্যাটে যেমন: jpg বা gif ফরম্যাটে সেভ করে নিলেন। ফরম্যাটের পরিচিতিতে আমি ফাইল সাইজ নিয়ে এত কিপটেমী কেন করছি ভাবছেন তো? কারণ ওয়েবসাইটে যত কম সাইজের ফাইল রাখা যায় পেজ ততই দ্রুত লোড হয়।
চিন্তা করে দেখুন তো আপনি একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য ওয়ালপেপার
হিসেবে দিয়েছেন। সবুজ ঘাস, নীল আকাশ, সাদা মেঘ। এখন আপনি যদি হঠাৎ শখ করেন যে মেঘগুলোকে গায়েব করে দেবেন, তাহলে সেটাকে মুহূর্তের মধ্যে গায়েব করতে পারবেন না। কিন্তু যদি মেঘগুলো আলাদা লেয়ারে থাকতো তাহলে এক ক্লিকেই আপনি মেঘগুলোকে লুকিয়ে ফেলতে (Hide করতে) পারতেন।
লেয়ারের মাধ্যমে ছবির আলাদা আলাদা অংশগুলোকে আলাদা আলাদা রাখা হয়, যাতে সেগুলোর উপর আলাদাভাবে কাজ করা যায়। নিচের ছবিটা দেখুন:
(উপরের ছবিটা দেখলে লেয়ারের ধারণা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ক্লিক করে ছবিটাকে বড় করে দেখুন।)
শীতের দিনে ভাপা পিঠা তো খেয়েছেন নিশ্চয়ই। দেখেছেন তো কেমন চালের গুড়ো, গুড়, নারিকেলের পরত থাকে। পরতগুলো (বা লেয়ারগুলো) একটার উপর আরেকটা থাকে। ফটোশপেও একইরকম। তবে ফটোশপের সুবিধা হল চাইলে আপনি একটি লেয়ারকে উপরে-নিচে উঠাতে-নামাতে পারবেন, নাম পরিবর্তন করা যায়, মুছে ফেলা যায়, ইফেক্ট দেয়া যায় ইত্যাদি।
লেয়ার সব ফরম্যাটে সাপোর্ট করে না। লেয়ার সেভ করার জন্য সবচেয়ে ভাল ফরম্যাট হল .psd (অর্থাৎ ফটোশপ ডকুমেন্ট)। ফটোশপে Layers নামে একটি প্যালেট আছে দেখুন। (যদি সেটি না থেকে থাকে তাহলে Window - Layers মেনুতে ক্লিক করুন।) কোনো পিএসডি ফাইলে যদি লেয়ার থাকে তাহলে তা লেয়ারস প্যালেটে দেখা যাবে। টেস্ট করতে চাইলে নিচের .zip ফাইলটি ডাউনলোড করুন:
flag-of-bangladesh.zip (33 kb)
এখন ভিতরের .psd ফাইলটি Open করুন। এখন লেয়ারস প্যালেটে দেখবেন তিনটা লেয়ার দেখাচ্ছে। নিচের চিত্রে দেখুন লেয়ারস প্যালেটের সাহায্যে কত কি করা যায়:
এখন Green Background লেয়ারের উপরের লেয়ারের নামের উপর (Layer1) ডাবল ক্লিক করুন এবং টাইপ করুন "Red Circle" এবং এন্টার চাপুন।
সবার উপরের লেয়ারটায় "বাংলাদেশ" লেখাটা আছে। এখন মনে করুন আপনার বস আপনাকে বললো এই লেখাটা মুছে দিয়ে কিরকম লাগে সেটা দেখাতে। আপনি তো স্মার্ট একজন ডিজাইনার, আপনি আগেই লেয়ার আলাদা করে রেখেছিলেন। আপনি তখন শুধু উপরের লেয়ারের বামপাশের চোখে ক্লিক করে দিলেন, ব্যস! লেয়ারটা গায়েব করে দিলেন নিমিষেই।
আবার বস যদি বলে আগেরটাই ঠিক ছিল, তখন আপনি আবার চোখের জায়গায় ক্লিক করলেন, "বাংলাদেশ" লেখাটা আবার এসে গেল। আপনার বস তো এত দ্রুত কাজ দেখে পারলে তখনই আপনাকে দুটো বোনাস দিয়ে দেয়!
এখন আপনি zip এর ভিতরের jpg এবং gif ফরম্যাটের ফাইলও দেখতে পাবেন। সেগুলো যদি ওপেন করেন তাহলে দেখবেন সেগুলোতে লেয়ার নেই। আপনি যদি লেয়ার না রাখতেন, jpg gif ফরম্যাটে সেভ করতেন তাহলে দ্রুততার সাথে লেয়ার শো/হাইড করে দেখাতে পারতেন না।
---- ছবির ফরম্যাট ----
এখানে শুধু কয়েকটি ফরম্যাট নিয়ে আলোচনা করছি, এগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়। বাকিগুলো সম্পর্কে ফটোশপ হেল্প থেকে জেনে নিতে পারেন। Help - Photoshop Help... মেনুতে ক্লিক করে হেল্প দেখতে পারবেন। (... আসলে সত্যি বলতে কি-আমি বাকিগুলো সম্পর্কে জানি না!!
BMP - Bitmap
বিটম্যাপ ফরম্যাটটি উইন্ডোজভিত্তিক একটি ফরম্যাট। এটি সাধারণত কোনো কমপ্রেশন ছাড়া ফাইল সেভ করার জন্য ভাল।
JPG বা JPEG - Joint Photographic Experts Group (JPEG) format
এই ফরম্যাটের ছবি খুব কমপ্রেস করা যায়। যত কমপ্রেস করা যায় ফাইল তত ছোট হয়। কিন্তু কমপ্রেস বেশি করা হলে ইমেজ কোয়ালিটিও খারাপ হয়ে যায়। কমপ্রেস করলে যেহেতু ফাইল সাইজ কম হয়, তাই ওয়েবসাইটে এই ফরম্যাটের ছবি খুব ব্যবহৃত হয়।
GIF - Graphics Interchange Format
কম রঙের ছবি এই ফরম্যাটে অনেক কম সাইজে সেভ করা যায়। কার্টুন, লোগো বা ক্লিপআর্ট জাতীয় ছবিতে সাধারণত কম রঙ থাকে বলে এগুলো এই ফরম্যাটে সেভ করা ভাল। ছবির রঙ যত কম হবে ফাইল সাইজ তত কম হবে।
যেমন: zip ফাইলের ভিতরে যে বাংলাদেশের পতাকা আছে সেটাতে কম রঙ আছে - লাল, সবুজ এবং সাদা। এজন্য gif ফরম্যাটে ওজন কম 4.64 kb যেখানে jpg ফরম্যাটের ওজন একটু বেশি 11.8 kb।
PNG - Portable Network Graphics
এই ফরম্যাটের একটা সুবিধা হল এতে (আলফা চ্যানেলের মাধ্যমে) ট্রান্সপ্যারেন্ট ছবি সেভ করা যায়।
আর PSD ফরম্যাট সম্পর্কে তো জানলেনই। ফটোশপের সব ফিচার এই ফরম্যাটে সংরক্ষিত করে রাখা যায়। তাই আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে চান তাহলে আপনার উচিৎ হবে মূল ফাইলটি .psd ফরম্যাটে সেভ করা। সেই ফরম্যাট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য ফরম্যাটে যেমন: jpg বা gif ফরম্যাটে সেভ করে নিলেন। ফরম্যাটের পরিচিতিতে আমি ফাইল সাইজ নিয়ে এত কিপটেমী কেন করছি ভাবছেন তো? কারণ ওয়েবসাইটে যত কম সাইজের ফাইল রাখা যায় পেজ ততই দ্রুত লোড হয়।
0 comments: