মোবাইল বা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হওয়া ডিভাইসটিতে নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানি...

মোবাইলফোনে ভাইরাসের হুমকি

11:36:00 PM Mainuddin 0 Comments

মোবাইল বা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুসঙ্গে পরিণত হওয়া ডিভাইসটিতে নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি
। ম্যাকাফি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে নতুন ধরনের মোবাইল ম্যালওয়্যারের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম 'অ্যানড্রয়েড'ও পরিণত হয়েছে ক্ষতিকর ট্রোজন ভাইরাসের অন্যতম লক্ষ্য।সেইসঙ্গে নকিয়া’র সিমবিয়ান এবং ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোনও রয়েছে হ্যাকারদের নজরে। বিভিন্ন গেম, লিংক, বিজ্ঞাপনের ছদ্মবেশে মোবাইলে প্রবেশ করে এসব ভাইরাস। এরপর ব্যবহারকারীর অজান্তেই আক্রান্ত মোবাইল থেকে তথ্য চলে যায় অপরাধীর কাছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া না হওয়া পুরোটাই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সতর্কতার ওপর।

২০০৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু তখন স্মার্টফোন বা বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এর মতো জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইলে নিত্যনতুন কাজের সঙ্গে বেড়ে গেছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।

সমসাময়িক স্মার্টফোন নির্মাতারা সাধারণত দাবি করেন, তাদের তৈরি মোবাইল ফোনে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যা ভাইরাস প্রতিরোধী। কিন্তু ম্যাকাফি, সিমানটেক বা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, ‘হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীরা তো বসে নেই।’ তাই এখন স্মার্টফোন ভাইরাস নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে।

ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন স্মার্টফোনেও সাইবার আক্রমণের আশংকা বেড়ে গেছে, এর কারণ স্মার্টফোনের উন্নত সংস্করণ এখন অর্থ লেনদেনসহ ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ডেটা সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আপনার স্মার্টফোন যদি ভাইরাস আক্রমণের বাইরে মনে করেন, তারপরও দ্বিতীয়বার ভাবুন। আপনার স্মার্টফোনটি আপনি যে সব কাজে ব্যবহার করছেন বা তাতে যে ধরনের ডেটা রাখছেন তা আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যেতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইনফরমেশন সিকিউরিটি সেন্টার (জিটিআইএসসি)-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, ততো বেশি ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আর্থিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হতে থাকবে, আর এর ফলে, সাইবার অপরাধীরা অপরাধ ঘটানোর ফাঁক-ফোকর পাবে আরো বেশি।

স্মার্টফোনে বাড়ছে আক্রমণ

স্মার্টফোন যতই ছোট, জটিল হচ্ছে, ততো এই ডিভাইসটিতে আক্রমণের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতা সিমানটেক কর্পোরেশন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ২০১০ সালে ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচিতে স্টাক্সনেট ম্যালওয়্যার হামলার মতো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে এ বছর হামলার ঝুঁকি বেড়েছে। সিমানটেকের নিরাপত্তাকৌশল বিশেষজ্ঞ সিয়ান জন জানিয়েছেন, ২০১০ সাল ছিলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বছর। ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালে মোবাইল প্ল্যাটফর্মেও আক্রমণ শতকরা ৪২ ভাগ বেড়েছিলো যা এ বছর আরো বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে স্মার্টফোনে হামলার কারণগুলো হচ্ছে, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ বিস্তারের ফলে অপারেটিং সিস্টেমের ধরণ বা মোবাইল ফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, তার জন্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম তৈরি করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। এ ছাড়াও গেমসসহ, ব্লু টুথ, ইনফ্রা রেড পোর্ট, টেক্সট অথবা পিকচার মেসেজিং ইত্যাদি ব্যবহারে ছোট আকারের ডেটা এবং এসব ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম সহজেই ভাইরাস ছড়াতে পারে। ই-মেইলের অ্যাটাচমেন্টের মতো মোবাইল কোনো টেক্সট কিংবা এমএমএসের মতো মাল্টিমিডিয়া মেসেজের সঙ্গে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ছড়ায়। এক্ষেত্রে ভাইরাস নিজেকে মোবাইলের কন্ট্রাক্ট লিস্টে নিজের স্থান গেড়ে বসে এবং লিস্টের সব নম্বরে এমএমএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে থাকে।

স্মার্টফোন ভাইরাস কি?

যে কোনো অপারেটিং সিস্টেমের ভাইরাসই মূলত এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যা নিজে নিজেই কপি হতে ও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ কপিগুলো আবার নিজেরাই পরিবর্তিতও হতে পারে। কম্পিউটার প্ল্যাটফর্মের জন্য হুমকি হিসেবে প্রথমে তৈরি করা হলেও ভাইরাস এখন মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্যও লেখা হচ্ছে। নিরীহ প্রোগ্রাম মনে হলেও এই ভাইরাসগুলোও ব্যবহারকারীর অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এগুলো স্বাভাবিক প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় মেমোরি দখল করে। বেশ কিছু ভাইরাস বাগ তৈরি করে, যার ফলে সিস্টেম ক্রাশ বা তথ্য হারানোর আশংকা থাকে। বর্তমানের স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনগুলো এবং অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন অ্যাডভান্সড অপশনের কারণে হাতের স্মার্টফোনটিই ভাইরাসের আবাসস্থল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আক্রমণের শিকার অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, সিমবিয়ান

২০০৪ সালে প্রথম মোবাইল ভাইরাস আক্রমণের কথা জানা যায়। এ পর্যন্ত যে সব ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, মোবাইল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত ফোনগুলোই আক্রমণের শিকার। তবে, বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, বা অ্যাপলের হ্যান্ডসেটও আক্রমনের শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে। যেসব মোবাইল ফোন সেট শুধু কল রিসিভ কিংবা কল করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত। অর্থাৎ সাধারণ মানের সেটগুলোও ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত। এ ছাড়াও বর্তমানে চীনের তৈরি বিভিন্ন মোবাইল পাওয়া যায়। এসব মোবাইলে নির্দিষ্ট কোনো অপারেটিং সিস্টেম থাকে না। এ ছাড়াও এগুলোতে ব্যবহার করা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে অজানা ভাইরাস আক্রমণ করারই আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব মোবাইল ভাইরাস আক্রান্ত হলে পুরো হ্যান্ডসেটই অচল হয়ে যেতে পারে।

মোবাইল ফোনে এখন পর্যন্ত যেসব মোবাইল ভাইরাস খুঁজে পাওয়া গেছে সেগুলো মূলত পরীক্ষামূলক সফটওয়্যার। এদিকে, গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনেও সম্প্রতি ভাইরাস 'জিনিমি' আক্রমণ করে। অন্য মোবাইল ভাইরাস থেকে এ ভাইরাস অনেক শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে চীনের লক্ষাধিক অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনে এ ভাইরাস আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা লুকআউট মোবাইল সিকিউরিটি। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, কম্পিউটার থেকে মোবাইলে সফটওয়্যার ডাউনলোডের সময়ই এ ভাইরাস মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন উপযোগী গেম ডাউনলোড করলেই এ ভাইরাস মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসটি আক্রান্ত মোবাইলে সংরক্ষিত ব্যবহারকারীর সব তথ্য চুরি করছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে, এমন সব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ চুরি করতে সক্ষম একটি ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, এটি মোবাইল ফোনগুলোতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসটি মিডিয়া প্লেয়ারের ছদ্মবেশে ঘাপটি মেরে থাকে। সক্রিয় করার চেষ্টা করলেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে এবং অসংলগ্ন এসএমএস পাঠানো শুরু করে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাবস এই ক্ষতিকর ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য এটাই প্রথম ভয়ংকর ভাইরাস।

সম্প্রতি, ভারত এবং সার্ক অঞ্চলের ট্রেন্ড মাইক্রো এর কান্ট্রি ম্যানেজার অমিতনাথ জানিয়েছেন, ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা জিউস ট্রোজান ভাইরাস হামলার মুখে রয়েছেন। এই ভাইরাসটি আপনার অজান্তেই মোবাইলের ডেটা চুরি করে নিতে পারে। এই ভাইরাসটি নিজে নিজে অসংখ্য কপি হয়ে কল ব্লক করে দেয়, অ্যাডমিনের কন্ট্রোল নিয়ে নেয়, ইনবক্স অচল করে দেয়, মেসেজ চুরি করে অজান্তেই সর্বনাশ ঘটিয়ে ফেলে। এটি এমনকি অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করতেও দেয় না।

নকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমে স্কাল নামের ভাইরাস আক্রমণের কথা বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এটি মুলত একটি ট্রোজান। এই ট্রোজানটি ছড়ায় মূলত ফোনকলের মাধ্যমে। এই ভাইরাস ডাউনলোড হবার পর মোবাইলের কন্টাকটস, ফোন বুক, ক্যালেন্ডার, ইমেইল সব নষ্ট করে ফেলে। এমনকি এগুলোর লোগো বদলে গিয়ে দেখা যাবে মাথার খুলির লোগো। সিমবিয়ান প্ল্যাটফর্মে আক্রমণ করতে সক্ষম কমওয়ারিয়ার নামের আরও একটি ফোন ভাইরাস রয়েছে। স্কালের সঙ্গে তুলনায় বেশি ক্ষতিকারক এই ভাইরাসটি ফোনে ঢুকে পড়ার পর ব্লু টুথ অথবা মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং, এমএমএসের মাধ্যমে অন্য ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। ফোন বুক থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই ভাইরাস অন্য মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠায়। বিশেষজ্ঞরা কমওয়ারিয়র ভাইরাসটির প্রথম খোঁজ পান ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে। এটি এমএমএস এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ছড়ায়। কোনো মোবাইল আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারির অজান্তেই কপি হয়ে এটি অন্যান্য মোবাইলে ছড়াতে থাকে। কাবির নামে অপর একটি ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে ১৫ জানুয়ারি ২০০৪-এ। এটি শুধু ব্লুটুথ এর মাধ্যমে ছড়ায়।

ভাইরাস প্রতিরোধ

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভাইরাস আক্রান্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট ক্ষেত্রবিশেষে অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে ইনস্টল করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই মোবাইল ফোনের জরুরী ফাইল, অ্যাড্রেস বুক ইত্যাদির একটি ব্যাক-আপ রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, সচেতনতার মাধ্যমেই মোবাইল ভাইরাস ঠোকনো যায়। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বা লিংকে ক্লিক না করা, সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটগুলোতে ব্রাউজিং এর সময় সতর্ক থাকা এবং যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনে নিজের ব্যক্তিগত বা অন্যান্য তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকার ফলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।

অপ্রয়োজনে ব্লু-টুথ অপশন বন্ধ রাখা ভালো। ব্লু-টুথের মাধ্যমে অন্য ডিভাইস থেকে ডেটা ট্রান্সফারেরে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সিকিউরিটি আপডেট চেক করার মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। অনেক ভাইরাস আছে যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিভিন্ন নামে একের পর এক ফাইল তৈরি করতে থাকে। কিছু সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস বাজারে ছেড়েছে। যেমন- সিমানটেক, ম্যাকাফি, ক্যাসপারস্কি ল্যাব, এফ-সিকিউর উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে কিছু মোবাইল ফোনের সঙ্গে এ ধরনের সিকিউরিটি সফটওয়্যার দেওয়া থাকে। কম্পিউটার থেকে ডেটা আদান-প্রদানের সময় কম্পিউটার ভাইরাস স্ক্যান করে নিন। সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আক্রমণের আশঙ্কা কম থাকলেও আক্রান্ত হ্যান্ডসেটের অবস্থা স্প্যাম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কম্পিউটারের মতোই হবে। এ পরিস্থিতি ঠেকানো সম্ভব কেবল নিজে সচেতন হলেই।



সূত্র বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

0 comments: