ইসলামে নারী-পুরুষের অলঙ্কার পরিধানের বিধান!

মানব সভ্যতায় আদিকাল থেকে অলঙ্কারের ব্যবহার চলে এসেছে অলঙ্কার ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি, রুচী, বোধ, মননশীলতা ও সৃজনশীল মানসিকতার বহিপ্রকাশ ...


মানব সভ্যতায় আদিকাল থেকে অলঙ্কারের ব্যবহার চলে এসেছে অলঙ্কার ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি, রুচী, বোধ, মননশীলতা ও সৃজনশীল মানসিকতার বহিপ্রকাশ অলঙ্কারের মাধ্যমে মানুষের জীবনাচার, ঐতিহ্য-ইতিহাস এবং আর্থিক অবস্থা, সামাজিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।

অলঙ্কার প্রবর্তনের সূচনা কাহিনীরূপে কথিত আছে : হযরত ইবরাহীম (আ.) এর প্রথম স্ত্রী সারা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরাকে সৌন্দর্যহানীর লক্ষ্যে কান ফুটো করে দেন পরবর্তীতে হযরত ইবরাহীম (আ.) হাজেরাকে কানে অলঙ্কার পরিয়ে দিলে তার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায় এখান থেকেই অলঙ্কার ব্যবহারের প্রচলন ঘটে (আল্লাহই ভালো জানেন) কুরআনুল কারীমে অলঙ্কার ব্যবহারের ইতিহাস হযরত মূসা (আ.) এর সময়কাল (এবং তার পূর্বকাল) থেকে জানা যায় সূরা আরাফের ১৪৮ নম্বর আয়াতে এর বর্ণনা পাওয়া যায় সূরা নাহল এর ১৪ নম্বর আয়াতে অলঙ্কার হিসেবে মুক্তার ব্যবহারে উল্লেখ রয়েছে সূরা ফাতির এর ১২ নম্বর আয়াতে অলঙ্কার হিসেবে প্রবাল ব্যবহারের কথা এসেছে

বেহেশতবাসীদের অলঙ্কার ব্যবহার : এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে সূরা দাহার এর ২১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে জান্নাতবাসীদের রজত কাঁকন পরানো হবে সূরা কাহাফ এর ৩১ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তাদের কাঞ্চন কঙ্কনে অলঙ্ককৃত হরা হবে সূরা হজ্জ এর ২৩ নম্বর আয়াতে ও সূরা ফাতির এর ৩৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে সেথায় তাদের স্বর্ণবালা ও মানিক্যালঙ্কারে সজ্জিত করা হবে

উম্মুল মুমিনীন ও মহিলা সাহাবীদের অলঙ্কার ব্যবহার : প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর সহধর্মিনীগণও অলঙ্কার ব্যবহার করতেন হযরত মা আয়িশা (রা.) এর গলার হার হারানোর ঘটনা অত্যন্ত বিখ্যাত, যে বিষয়ে পরবর্তি পর্যায়ে কুরআনে আয়াতও নাযিল হয়েছে প্রায় মহিলা সাহাবীগণ অলঙ্কার ব্যবহার করতেন বিভিন্ন সময় মহিলা সাহাবীগণ জিহাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য নিজেদের হাতের বালা খুলে দিয়েছেন বলে হাদীসে উল্লেখ আছে নবীজী (সা.) কোন কোন বয়ানে মহিলাদের অলঙ্কারের যাকাত প্রদানের প্রসঙ্গও আলোকপাত করেছেন যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণীত

অলঙ্কারের সিদ্ধ ও নিষিদ্ধ ধাতুসমূহ : লোহা ও স্টীলের অলঙ্কার পরিধান করা মাকরূহ; কেননা দোযখীদের শাস্তিস্বরূপ লোহার বেড়ী পরানো হবে এ ছাড়া অন্য যে কোন ধাতু বা বস্তু নির্মিত অলঙ্কার পরিধান করা যাবে

পুরুষদের অলঙ্কার ব্যবহার : পুরুষের জন্য রূপার আংটি ব্যতিত সকল প্রকার অলঙ্কারই নিষিদ্ধ বিশেষ করে সোনার আংটি ও সোনার চেইনসহ যাতীয় স্বর্ণালঙ্কার সমপূর্ণরূপে নিষেধ

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর অলঙ্কার ব্যবহার : আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) অলঙ্কার ব্যবহার করতেন না রাষ্ট্রিয় দাফতরিক প্রয়োজনে সীল মোহর হিসেবে রূপার অঙ্গুটি ব্যবহার করেছেন তাতে লেখা ছিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তিনি এই আংটি ডান হাতে কনিষ্ঠাঙ্গুলে পরতেন তাই কারো মতে পুরুষ শুধু প্রয়োজনে আংটি ব্যবহার করতে পারবে, কারো কারো মতে পুরুষের জন্য সাধারণভাবে আংটি পরা অনুমোদিত; আবার কারো কারো মতে আংটি ব্যবহার করা সুন্নাত, তবে সর্বাবস্তায় সেটি হতে হবে রূপার

অলঙ্কার ব্যহারের অঙ্গসমূহ : পুরুষ শুধু হাতের আঙ্গুলেই রূপার আংটি পরতে পারবেন মহিলাগণ হাত, পা, নাক, কান, গলা, বাজু, কব্জি, হাতের আঙ্গুল, পায়ের নলা, পায়ের আঙ্গুল ও কোমরে অলঙ্কার পরিধান করতে পারবেন উল্লেখ্য যে, কান ফোঁড়ানো বা কান ফুটো করে তাতে অলঙ্কার ব্যবহার করা প্রমাণীত; কিন্তু নাক ফোঁড়ানো বা নাক ফুটো করে নাকে অলঙ্কারের ব্যবহার প্রমাণীত নয়

যেসব অঙ্গে অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে না : বর্তমানে আরো কিছু কিছু অঙ্গে অলঙ্কার ব্যবহার করতে দেখা যায়, যেমনঃ ঠোট, চোখ, নাভী, জিহ্বা; এসব স্থানে অলঙ্কার ব্যবহার করা অপসংস্কৃতি ও উগ্রতার বহিপ্রকাশ; তাই এসব অনুমোদিত নয় ।

অলঙ্কারের উপকরণ : অলঙ্কারের উপকরণ হিসেবে সাধারণত সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, পিতল, তামা, দস্তা, কাঁসা, স্টীল, লোহা, কাঠ, ফলের বিচি, শামুক-ঝিনুক, পোড়ামাটি, কাঁচ, চাঁচ, রাবার, প্লাস্টিক, পাথর (হিরা, চুনী, পান্না, রুবী, মার্বেল) মুক্তা ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে থাকে মহিলাদের জন্য এসব বস্তু ব্যবহারে বাধা নেই; পুরুষের জন্য রূপার আংটি ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার জায়েজ নেই।

অলঙ্কারের অনুমোদিত ও অনুমোদিত ডিজাইন বা নকশা : নকশা বা আকৃতি হিসেবে ফুল, ফল, লতা-পাতা, গাছ-পালা, নিসর্গ ও প্রকৃতি অলঙ্কারের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ক্রুশ, সাপ-বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, প্রাণী এবং হারাম বাদ্যযন্ত্র ও জুতা-স্যান্ডেল ইত্যাদি যাতে বিধর্মীদের বিশ্বাস, সভ্যতা, সংস্কৃতির ছাপ থাকে অথবা, অপসংস্কৃতি ও উচ্ছৃখলতা প্রকাশ পায়

প্রচলিত বিভিন্ন প্রকারের অলঙ্কারের নাম- নাকের অলঙ্কার: নাকফুল, বুট, নাকচাবী; নথ, নাকঠাঁসা, বুলবুলি, বালি, রেজবালি, চাঁদবালি/চন্দ্রবালি, নোলক, বোলক ইত্যাদি।

কানের অলঙ্কার : কানপাশা, কানের দুল, কানফুল, বৈঠাফুল, লটকাফুল, ঝুমকা, কানের বালি, মুড়কি ইত্যাদি

গলার অলঙ্কার : মালা, মুক্তার মালা, পুতির মালা, কাঠের মালা, চেইন, হার, চন্দ্রহার, সীতাহার, তাবিজ, লকেট, হাঁসুলী

হাতের কব্জির অলঙ্কার : চুড়ি, বালা, কাঁকন-কঙ্কন, শাঁখা, শঙ্খচুর, চুর, রুলি, ব্রেসলেট, ঘড়ি ইত্যাদি

হাতের বাজুর অলঙ্কার : বাজুবন্ধ, কালসী ইত্যাদি কোমরের অলঙ্কার: বিছা পায়ের অলঙ্কার: পায়েল, নূপুর, মল, খাড়ু ইত্যাদি

মাথার অলঙ্কার : টিকলী, চুলকাঁটা, খোঁপা, বেনী, রাবার ব্যান্ড, কাপড়ের ব্যান্ড, ক্লিপ, টিপ ক্লিপ, কালো ক্লিপ, কাঁকড়া ক্লিপ ইত্যাদি

বিশেষ দ্রষ্টব্য : ক্রুস বা ক্রস চিহ্নযুক্ত কোন অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে না; কারণ এটি খ্রিষ্টানদের ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির অংশ পৈতা (বিশেষ ধরণের কাঠের পুতির মালা) পরা যাবে না এবং সাদা শাঁখা, যা শাঁখ-শঙ্খ বা সামুদ্রিক শামুকের খোলস কেটে তৈরী করা হয় অথবা সে আদলে অন্য কিছু দিয়ে বানানো হয়; তা পরিধান করা মুসলিম রমণীদের জন্য বৈধ নয় কারণ এ উভয়টি হিন্দু সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্ম বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়

অলঙ্কার ব্যবহারে ডান-বাম : হাদীস শরীফে আছে রসূলে কারীম (সা.) সকল কর্মে ডান দিককে অগ্রাধিকার দিতেন (সুনানে আবু দাঊদ) তাই যে কোন অলঙ্কার একক হলে ডান অঙ্গে পরা এবং ডান দিক থেকে পরতে শুরু করা সুন্নাত এই বিধান পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

অলঙ্কার ও পর্দা : মনে রাখতে হবে অলঙ্কার পরিধান করে গায়রে মাহরাম বা পরপুরুষের সামনে বেপর্দা হওয়া কোনক্রমেই বৈধ নয় অলঙ্কার শুধু আপন ও অনুমোদিত পরিবেশে পরতে হবে বেপর্দা হওয়া এমনিতেই গুনাহ, অলঙ্কৃতাবস্থায় পর্দা লঙ্ঘণ করা আরো কঠিন গুনাহ।

মহর ও অলঙ্কার : বিয়ের সময় বরের পক্ষ থেকে কনেকে যে অলঙ্কার প্রদান করা হয়, তা মহর হিসেবে উল্লেখ করা থাকলে মহর হিসেবে গণ্য হবে; নচেৎ উপহার বা হাদিয়ারূপে পরিগণিত হবে পরবর্তিতে স্বামী স্ত্রীকে কোন অলঙ্কার দিলে তা মহর বলে নির্ধারণ করলে স্ত্রীর সম্মতি ক্রমে তা মহররূপে গণ্য হবে; নয়তো দান বা উপঢৌকন হবে।

অলঙ্কারের জাকাত : কারো মালিকানায় সোনা সাড়ে সাত ভরি বা বেশী থাকলে তাকে সম্পূর্ণ সোনার এবং রূপা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা বেশী থাকলে তাকে সম্পূর্ণ রূপার যাকাত প্রদান করতে হবে এই সোনা-রূপা অলঙ্কার হোক বা অন্য যাই হোক না কেন ব্যবহারের অলঙ্কারসহ যাবতীয় স্বর্ণ-রৌপ্য যাকাতের আওতাধীন ।

শেষ কথা : এমন অলঙ্কার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় যা ব্যবহারে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে আকর্ষণীয়, মোহণীয়, কমনীয়, রুচীশীল, সংস্কৃতিবান, ঐতিহ্যশালী করে তুলবে এমন অলঙ্কার ব্যবহার করা সমীচিন নয় যা ব্যবহারকারীকে অশোভন, লোভনীয়, অহঙ্কারী, উচ্ছৃঙ্খল, অশ্লীল, বেহায়া-নির্লজ্জ ও উত্তেজক হিসেবে দর্শকের সম্মুখে প্রকাশ করবে নহে সুন্দর দামী পোষাকে ও অলঙ্করণে; সুন্দর হলো জ্ঞানে ও ভদ্র আচরণে।

নকল ও জাল নোট হতে সাবাধান! - জাল টাকা চেনার সহজ কয়েকটি উপায় সকলের জানা প্রয়োজন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে  বাজারে আসছে নতুন টাকার নোট। এবারও প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার...

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে  বাজারে আসছে নতুন টাকার নোট। এবারও প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার থেকে ৪রা জুলাই সোমবার পর্যন্ত নতুন নোট সরবরাহ করা হবে। পুরো দেশজুড়ে আর এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সকলকেই কম আর বেশি ৫০ টাকা, ২০ টাকা, পাঁচ টাকা এবং দুই টাকা নোটের একটি করে বান্ডেল দেওয়া হবে।মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিনটি কাউন্টার এবং সদরঘাট অফিস ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে। তাছাড়াও ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস এবং যেসব এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেসব এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।আরেকটি কথা সকলের জানা প্রয়োজন এবার কিন্তু বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে নোট সরবরাহ করা হবে। নতুন টাকা সংগ্রহে প্রত্যেকে মাত্র একবারই সুযোগ পাবেন। তাছাড়া কেউ ৮ হাজার ৭০০ টাকার বেশি নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন না।
তার পরেও সকলকে টাকা নেয়ার সময় বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হইল । 




আমাদের এই দৈন্দিন জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমাদের অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে । আর এটা মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তির জাল নোট তৈরি ও বাজার জাত কারণে প্রতিনিয়ত আমরা সাধারণ মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি । তাই আমাদের সকলকে এই জাল নোট গুলো চেনা খুবয়ই জরুরী । আর এই জাল টাকার নোট চেনার সহজ সহজ কয়েকট উপায় আছে । উপায়গুলো 


১ । জাল টাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই টাকার নোটগুলো নতুন হবে । কারণ জাল টাকার নোটগুলো সাধরণ কাগজের তৈরি তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোট নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বোঝা যায় ।

২। জাল টাকার নোট ঝাপসা দেখায় । আসল নোটের মত ঝকঝকে থাকে না । সেটা নতুন হোক আর পুরাতন হোক এবং কিছুটা পাতলা বা হালকা ধরনের যা একজন আরেকজনের কাছ থেকে টাকা লেন দেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায় ।

৩। জাল নোট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে তা সাধারণ কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যাবে । আর আসল নোট ভাঁজ হবে না । যদিও সামান্য ভাঁজ হবে তবুও তা জাল নোটের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি ।

৪। এবার আসুন আসল কথায় আপনি এই মূহুর্তে নতুন একটি ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা এবং একটি ১০০ টাকার নোট এবং পুরাতন একটি পাঁচশত টাকার নোট আপনার হাতে নিন । আর এই বর্ণনার সাথে মিলিয়ে দেখুন কথাগুলো ঠিক আছে কি না ।

৫। উপরে লেখা প্রথম তিনটি নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে । একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ওটা কোন রেখা নয় । সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক Bangladesh Bank কথাটা লেখা আছে ।

৬। পুরাতন ৫০০ টাকার নোটে বাম পার্শের নিচে সুন্দর নকশা করে লেখা আছে ৫০০ মূলত সেখানে Bangladesh Bank কথাটাও লেখা আছে হালকা ও ভারি রং দিয়ে ।

৭। টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয় । টাকার দুই পার্শে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিনের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না । আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে যাবে।

৮। আসল নোট সবসময় খসখসে হবে ।


৯। উপরের সবগুলো উপায়ে যদি আসল ও জাল এবং নকল নোট সনাক্ত করতে কেউ ব্যর্থ হয় তবে তার জন্য সর্বশেষ উপায় আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট । এই লাইটের মাধ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ । আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের উপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বল জ্বল করে উঠবে । জাল নোটে তা হয় না । 

তথ্যসুত্রঃ জাতীয় ই-তথ্যকোষ

মহাকাশে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট : বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ এর আগেই মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট

ছোট আকৃতির কম ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইট কে ন্যানোস্যাট বলে, যা কিনা বিভিন্ন গবেষণা আর একাডেমিক কাজে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখে। ব্যয়বহুল ক...


ছোট আকৃতির কম ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইট কে ন্যানোস্যাট বলে, যা কিনা বিভিন্ন গবেষণা আর একাডেমিক কাজে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখে। ব্যয়বহুল কনভেনশনাল স্যাটেলাইটের তুলনায় ন্যানোস্যাট বেশ ছোট, ওজন হয় ১-১০ কেজি এবং একে বিষুবরেখার ৫০০-১৫০০ কিলোমিটার এর ভিতর স্থাপন করা যায়; যেখানে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটগুলো (যেমন, বঙ্গবন্ধু-১) ৩৬০০০ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয় এবং এদের উৎক্ষেপণ ও উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত বেশি। 

যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানেন যে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে যাচ্ছে। 

কিন্তু অনেকের কাছেই এটা অজানা যে, বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ এর আগেই মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পদচিহ্ন অঙ্কিত হতে যাচ্ছে মহাকাশে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে, লো আর্থ অরবিটে ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। 

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং জাপানের কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর একটা দল ন্যানোস্যাট টি আগামী বছরের মে মাসে উৎক্ষেপণ করবে বলে জানা গেছে। Japan Aerospace Exploration Agency (JAXA) and the International Space Station (ISS) এর সহযোগিতায় কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সাথে উৎক্ষেপণের ব্যাপারে একটা চুক্তিসই করেছে। 

 ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ন্যানোস্যাট টার গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে আর অন্যদিকে কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্রাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাংলাদেশী শিক্ষার্থিদের দ্বারা ন্যানোস্যাট এর নির্মানকাজ শেষের পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে জাক্সা (JAXA) থেকে ISS এ ন্যানোস্যাটটি পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে কয়েকমাসের মধ্যে সেটি LEO [low earth orbit] এ স্থাপন করা হবে। 

Bangladesh space research and remote sensing organization (SPARRSO) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন।

এই ন্যানোস্যাটের পিছনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অবদান হচ্ছে একজন মানুষের। তার নাম আরিফুর রহমান খান। তিনি তার পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চের পর কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্রাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর এসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ পান এবং ২০১৩ সালে কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) কে তাদের ন্যানোস্যাট প্রজেক্ট এ সাহায্য করেন। তিনিই ব্র্যাক এর এই উদ্যোগের পিছে ইনফ্লুয়েনশিয়াল ভূমিকা পালন করেন। 

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আরিফুর রহমান খান আমেরিকার এল পাসো তে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে ছোট স্যাটেলাইট ফ্যাসিলিটি উন্নয়নের জন্য এসিস্টেন্ট প্রফেসর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন (সহজ কথায় তারা তাকে মহাসমাদরে আমন্ত্রন জানায় দ্বায়িত্ব টা নিয়ে তাদের ধন্য করার জন্য, যেমন টা তিনি কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কে ধন্য করেছিলেন)। আর ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের এই প্রজেক্ট এ ফান্ডিং করছে স্বয়ং National Aeronautics and Space Administration (NASA). 

কি যে গর্ব লাগে এরকম এক একটা খবরে, কি বলব!! 

তথ্যসুত্রঃ Daily Star and BBC


সবাই সাবধানে থাকবেন, এমন ঘটনা যে কারো সাথেই যে কোন সময় ঘটতে পারে

সবাই সাবধানে থাকবেন, এমন ঘটনা যে কারো সাথেই যে কোন সময় ঘটতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন ১। আপনি ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টা...

সবাই সাবধানে থাকবেন, এমন ঘটনা যে কারো সাথেই যে কোন সময় ঘটতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন


১। আপনি ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে লোকাল বাসে উঠলেন। কারণ সিএনজিতে উঠলে ছিনতাইয়ের ভয় থাকে। বাস চলা শুরু করলে কিছুদূর যাওয়ার পর এক ব্যক্তি হঠাৎ হা-হুতাশ শুরু করলো, "আমার ব্যাগ চুরি হয়েছে। ব্যাগে তিন লাখ টাকা ছিল" আশে পাশের সবাই তাকে সান্তনা দিবে। একজন হঠাৎ বলবে, "এই বাসের কেউই হয়তো নিয়েছে। সার্চ করে দেখা হোক।" ৮-১০ জন তাকে সাপোর্ট দিবে। এই ৮-১০ জন বাসের সবাইকে সার্চ করা শুরু করবে। অবশেষে আপনার কাছে ব্যাগ পাওয়া যাবে। ব্যাগের রঙ মিলবে, বাহ্যিক বর্ণনা মিলবে, টাকার পরিমাণও মিলবে। আপনাকে চোর সাব্যস্ত করে উত্তম-মধ্যম দেয়া হবে, টাকা নিয়ে তারা চলে যাবে। কমপক্ষে ৮-১০ জন এই কাজ করে একসাথে। ব্যাংক থেকেই ফলো করা শুরু করে এরা। ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময় সতর্ক থাকা ভালো। সম্ভব হলে একাকী টাকা না তোলা উচিৎ। যেই ব্যাগ ইউজ করছেন সেই ব্যাগের কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে রাখা ভালো। 

 ২। খুব সকালে অথবা রাতে আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন কিংবা রিকশায়। রাস্তা ফাঁকা। হঠাৎ একটা মোটরসাইকেল এসে টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে যাবে। আপনি খুব শক্ত করে ব্যাগ ধরে রেখেছেন? তাতে ফলাফল আরো মারাত্মক হবে। এক্সিডেন্ট করবেন, জীবনও চলে যেতে পারে। কয়েক মাস আগেই এক মহিলার ব্যাগ টান দিয়েছিলো মাইক্রোবাস থেকে। ব্যাগ মহিলার হাতে প্যাঁচানো ছিল। প্রায় এক কিলোমিটার তারা মহিলাকে ছ্যাচড়িয়ে নিয়ে গেছে, ততক্ষণে মহিলার মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। তবুও তারা ব্যাগটা ছাড়েনি। আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার কাছে তো টাকা-পয়সা নেই, আপনার ব্যাগ কেউ টান দিবে না। আপনার কাছে টাকা-পয়সা নেই এটা আপনি জানেন, তারা তো জানে না। রিকশায় বসলে ব্যাগ দুই পায়ের ফাঁকে রাখা ভালো আর হাঁটার সময় রাস্তার পাশে যেই হাত তার বিপরীত পাশের হাতে ব্যাগ রাখবেন। 

 ৩। আপনি গাড়িতে আছেন। মোটামুটি উপরের কোন পদ্ধতি কাজ করবে না তাই রিলাক্সে গাড়ি চালাচ্ছেন। হঠাৎ পাশ থেকে এক গাড়ি এসে ধাক্কা দিবে। রেগেমেগে আপনি গাড়ি থামিয়ে চার্জ করতে যাবেন। অপর গাড়ি থেকে ৪-৫ জন নেমে এসে উলটা আপনাকে চার্জ করবে, ক্ষতিপূরন চাইবে, টাকাপয়সা নিয়ে যাবে। না দিতে চাইলে মারধোর করবে। এই ঘটনাটি বেশী ঘটবে ফ্লাইওভারের উপর, হাইওয়েতে কিংবা ফাঁকা রাস্তায়। এই ধরনের রাস্তায় গ্যাঞ্জাম দেখলে আপনি চিল্লাচিল্লি করলেও কেউ গাড়ি থামাবে না। এই ক্ষেত্রে গাড়ি না থামানোই ভালো। আর নয়তো আশেপাশে পুলিসের সাহায্য করার চেষ্টা করতে হবে। তিন ক্ষেত্রেই আপনার টাকা তো যাবেই, সাথে মারধোর কিংবা আহত হওয়ার ভয় থাকে। এছাড়াও চলন্ত বাসে পকেটমার সাজিয়ে মারধোর কিংবা ব্যস্ত রাস্তায় ছিনতাইকারী সাজিয়ে মারধোর করারও ঘটনা আছে। বাঁচার জন্য সবসময় নিজের আইডি কার্ড সাথে রাখা ভালো। আর ঈদের আগের এই কয়েকদিন সাবধানে থাকা উচিৎ সবাই সাবধানে থাকবেন, এমন ঘটনা যে কারো সাথেই যে কোন সময় ঘটতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

জনসচেতনতার জন্য পোষ্টি সবাই শেয়ার করবেন